ছবি: সংগৃহীত
লম্বা ক্যারিয়ারে অনেক নায়িকার সঙ্গেই জুটি বেঁধেছেন ফারুক। তবে সবচেয়ে সফল বলা যায় ফারুক-ববিতা জুটিকে। তারা একসঙ্গে অনেকগুলো কালজয়ী ছবি উপহার দিয়েছেন। ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘নয়নমণি’, ‘আলোর মিছিল’, ‘লাঠিয়াল’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘মিয়া ভাই’সহ ৩০টির বেশি ছবিতে কাজ করেছেন তারা।
ববিতা বললেন, ‘এটা মেনে নিতে পারছি না। অত্যন্ত খারাপ লাগছে। কারণ কয়েক দিন আগেই ওনার স্ত্রীর বোনের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। বললেন, ফারুক ভাইয়ের রক্ত সঞ্চালনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া তিনি ঠিকঠাক আছেন। শিগগিরই ঢাকায় ফিরবেন। আমি তো শুনে খুশি হলাম। কিন্তু আজ জানতে পারলাম যে, ফারুক ভাই চলে গেলেন! খুব খারাপ লাগছে।’
`ক্যারিয়ারের প্রথম থেকেই ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করেছি। সেসব ছবি মাইলস্টোন হয়ে আছে। ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপি এখন ট্রেনে’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’ সব বিখ্যাত ছবি। আমরা যখন শীতের মধ্যে সেই মানিকগঞ্জে শুটিং করতাম, অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকতাম, কখন আমাদের শট আসবে। কত কত স্মৃতি তার সঙ্গে মিশে আছে। সব যেন চোখে ভাসছে।”
২০১৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬’র মঞ্চে ফারুকের সঙ্গে দেখা হয়েছিলো ববিতার। ওই আসরে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছিলেন তারা।
আরো পড়ুন: জ্যামে ভক্তের সাহায্য নিলেন অমিতাভ বচ্চন
ববিতা বললেন, ‘আমরা যখন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে একসঙ্গে আজীবন সম্মাননা নিয়েছি, সেদিনই শেষ দেখা হয়েছিল। ওই সময় তার সঙ্গে অনেক কথা হয়েছিল। সবার সামনে মাইক্রোফোনে তাকে নিয়ে কত কথা বললাম।’
সবশেষে নায়কের স্ত্রী ফারহানা ফারুকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ববিতা। বললেন, ‘ফারুক ভাইয়ের স্ত্রীও একজন অসাধারণ নারী। তার এত যত্ন করেছিলেন। ফারুক ভাই সিঙ্গাপুরে অসুস্থ হয়ে আছেন, আর দিনরাত এক করে ওনার স্ত্রী সেবা করেছেন। খেতে পারতেন না, কত কষ্ট করে খাওয়াতেন। এই পরিবারকে কীভাবে সান্ত্বনা দেবো, বুঝতে পারছি না।’
এসি/ আইকেজে
খবরটি শেয়ার করুন